উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬/০৯/২০২৪ ৯:১০ এএম

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে রামুর চৌমুহনীস্থ বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এরা হলেন- রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল হক, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যুবলীগ নেতা ছৈয়দ নুর, রামু উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি মিজানুল হক রাজা, রামুর মন্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বাবলা, পূর্ব রাজারকুল এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন।
মামলার বাদী রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন জানিয়েছেন- মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে এরা জামিনের আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন বাদী হয়ে রামু থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় রামুর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো সহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, রিয়াজুল আলম, আলী হোছন, ফরিদুল আলম, মোজাফফর আহমদ হেলালী, হোছেন আহমদ আনছারী, নুরুল হক, আব্দুল মাবুদ, তপন মল্লিক, আজিজুল হক, ইমাম হোসেন ইমরান, সাজ্জাদ ইসলাম, জসিম উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, ওসমান গনি, নজিবুল হক আরকান, সালাহ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন বাবলা, শাহদাত হোসেন, খোকন, নাছির, মাশেকুর রহমান, নুরুল হক জিকু, রাশেদুল হক বাবু, ইউনুছ ভুট্টো, হাবিব উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন কালু, মিজানুর রহমান, অলি আহমদ, আপেল ভুট্টো, মিজানুল হক রাজা, সৈয়দ নুর, নীতিশ বড়ুয়া, আজিজ, ফরিদ মিয়া, মিজানুর রহমান, মোশারফ, মোহাম্মদ হোছাইন ও মোশারফ হোছেন পারভেজ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদী মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন সহ ১০-১৫ জন নেতা কর্মী নিয়ে তৎকালীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কক্সবাজার -৩ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজলের রামু চৌমুহনীস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে নির্বাচনী প্রচার – প্রচারণা পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অবস্থান করছিলেন। এসময় উল্লেখিত আসামীরা মিছিল নিয়ে এসে কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা কর্মীদের ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং ৮টি মোটরসাইকেলে ডিজেল ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়,আসামীরা নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে ককটেল ও হাত বোমা, শটগান , দেশি বিদেশি বিভিন্ন রকমের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে একযোগে গুলিবর্ষণ করে। একইসময় আসামীরা সহ অজ্ঞাতরা নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করলে বাদী মাহিন সহ উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা বাঁধা প্রদান করলে আসামীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় বাদী মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন সহ ১০-১৫ জনকে গুরুতর আহত করা হয় বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

পাঠকের মতামত

বদি’র ক্যাশিয়ার খ্যাত উখিয়ার সালাহ উদ্দিন মেম্বার একদিনের রিমান্ডে

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা রাজাপালং ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করার ...

সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা মামলার আসামি সাদেক গ্রেফতার

কক্সবাজারের চকোরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি ...

কক্সবাজারসহ দেশের ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলর অপসারণ

দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের ...

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তের বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের ১২ টি গরু জব্দ, ধরার ছোঁয়ার বাইরে চোরাকারবারিরা

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ভাল্লুক খাইয়াতে বিজিবির অভিযানে ১২টি মায়ানমারের গরু জব্দ ...

কক্সবাজারের দুটি মামলায় অব্যাহতি পেলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন গেলে ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে রাজনৈতিক ...